ঢাকাশনিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধান শিক্ষক সেলিমের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ধামাচাপা

তৃনমূল প্রতিবেদক, তানোর (রাজশাহী):
অক্টোবর ১২, ২০২৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তনমূল প্রতিবেদক, তানোর (রাজশাহী) :

রাজশাহীর তানোর পৌর সদর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে স্কুল ফান্ডের প্রায় পুনে এক কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দেয়া অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার গুঞ্জন উঠেছে।

সম্প্রীতি, ওই স্কুলের সহকারী (আইসিটি) শিক্ষক মুঞ্জুর রহমান বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম কে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট চলতি মাসের ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে লিখিত অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি কুরিয়ারের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসার, দূর্নীতি দমন অফিস, মাউশির মহাপরিচালক, রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক ও জেলা প্রশাসক, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিদ্যালয় পরিদর্শক ও চেয়ারম্যান শিক্ষা বোর্ড বরাবর দেয়া হয়। অভিযোগের প্রায় ১মাস অতিবাহিত হলেও রহস্য জনক কারনে এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে দ্রুত সরেজমিনে তদন্ত করলেই প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের ভয়াবহ অনিয়ম ধরা পড়বে।

বাদি সহকারী শিক্ষক মুঞ্জুর অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিগত ২০১৯ সালের ১৩ মে তারিখ হতে স্কুলের দোকানঘর ভাড়া বিদ্যালয়ের ৪৬২৩০০১০০০৪১২ হিসান নম্বরে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও ১১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। প্রশংসা পত্রের শিক্ষার্থী প্রতি ৫০০ টাকা করে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৯ সাল হতে জে,এস,সি, এসএসসি পরিক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশন ও ফরম পুরুন বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা লোপাট । ২০১৯,২০২০,২০২১,২০২২ ও ২০২৩ এর দুটি করে পরিক্ষা, তাদের নিকট হতে সেশন চার্জ ৩০০ টাকা, ফি ৩০০ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা গিলেছেন প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম। সরকারি অনুদানের ৬ লাখ টাকা,পরিক্ষা কেন্দ্র হতে ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ । বিদ্যালয়ের ভেন্যু ব্যবহার কারীর নিকট হতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। উপজেলা ও জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দের কোন হিসাব নাই যার পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। এফডি এর অবস্থা জানা নাই। সেই সাথে মালোপাড়া শাখা রাজশাহী অগ্রণী ব্যাংক উত্তোলিত টিউশন ফি এর অর্ধেক টাকা প্রধান শিক্ষক হাতে রেখে বন্টন করেন এবং অর্ধেক আত্মসাৎ করেন। দোকান ঘরের সিকিউরিটির টাকা প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেন যার পরিমাণ প্রায় ১৫ লাখ। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার খালাতো ভাই পরিচয়ে বিগত ২০১৯ সালে স্কুলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে দলীয় প্রভাবে রাম রাজত্ব করেন প্রধান শিক্ষক সেলিম। পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিকট হতে প্রশংসাপত্র, সার্টিফিকেট ও মার্কসীট দেয়ার নামে ২০০/৩০০ টাকা করে আদায় করে আত্মসাৎ করেন যার পরিমাণ ৪ লাখ টাকা। সেলিম নিজে প্রধান শিক্ষক হবে বলে সাবেক এমপি ফারক চৌধুরীর নিকট ওয়াদা করে সরকারি করনের জন্য কোন ঝামেলা করা হবে না বলে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পান তিনি। স্কুল সরকারি করনের জন্য শিক্ষকদের নিকট জোরপূর্বক ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেন তৎকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম। এসব কারনে স্কুল সরকারি হয়নি। সাবেক এমপির ইফতার মাহফিলের নামে টাকা নেয় সেলিম। সাবেক প্রধান শিক্ষকের নিকট হতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়া হয়। এভাবেই প্রায় পুনে এক কোটি টাকা লোপাট করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক। অভিযোগকারী আইসিটি শিক্ষক মুঞ্জুর রহমান বলেন, আমার অভিযোগে তীল পরিমান মিথ্যা নেই। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেই এসব অভিযোগের সত্যতা পাবে।

প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের সাথে জড়িত না। তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের মোবাইল নম্বরে ফোন দেয়া হলে তিনিও রিসিভ করেননি। সদ্য যোগদানকৃত তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মিনহাজুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।