তৃণমূল প্রতিবেদক:-
১৮ বছর পূর্বে ২০০৬ সালের এইদিনে রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সমাবেশে আওয়ামীলীগ পেটুয়া বাহিনীর সন্ত্রাসীরা লগি-বৈঠার তান্ডব ঘটিয়ে আমার ভাইদের নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিলো। সেই সময় থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বাকশাল কায়েমকারী অবৈধ আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকায় আমার ভাইদের হত্যাকান্ডের বিচার পায়নাই। অবিলম্বে সেই আওয়ামী সন্ত্রাসী খুনিদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় এনে দুর্গাপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দাবী জানিয়েছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর ২০২৪) দুর্গাপুর ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দুর্গাপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপজেলা জামায়াত ইসলামী'র সেক্রেটারী শামীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রাজশাহী মহানগর শাখার সেক্রেটারী (প্রচার ও মিডিয়া বিভাগ) অধ্যাপক সারোয়ার জাহান প্রিন্স।
ইসলামী চিন্তাবীদ কাঠালবাড়ীয়া শহীদ আবুল কাশেম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা খাঁন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী পূর্ব শাখার সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল বিশিষ্ট শিল্পপতি এডভোকেট নুরুজ্জামান লিটন, রাজশাহী পূর্ব শাখার শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মো.গোলাম মোর্তুজা।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী পূর্ব শাখার সেক্রেটারি আব্দুর রব, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাবেক আমীর অধ্যাপক ফজলুল বারী সোহরাব, জামায়াত নেতা গোলাম মোস্তফা, জাবের আলী, ইসহাক আলী, আলিউল ইসলাম, এজাজুল হক, দুর্গাপুর পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. রফিকুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন সহ জেলা ও উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার বায়তুল পল্টনে লগি-বৈঠা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ছয় নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। সমাবেশ থেকে এই নৃশংস ঘটনার বিচার ও খুনীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।
সমাবেশ শেষে দুর্গাপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও জিয়াচত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন দুর্গাপুর উপজেলা জামায়াত ইসলামী'র নেতৃবৃন্দ।#
প্রকাশকঃ তৌফিকুল ইসলাম, মিলিয়ন গ্রুপ কর্তৃক প্রকাশিত।
কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত