তৃণমূল প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুরে চাঁদা না দেওয়ায় যুবককে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বর্তমানে গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
১২ নভেম্বর আহত’র স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় চাঁদাদাবী ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে
মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,
গত ১১ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মাড়িয়া দক্ষিণপাড়ায় গ্রাম্য পশু ডাক্তার নাহিদের বাড়ীর উঠানে জমি মাপজোকের জন্য ভূমি সার্ভেয়ার আসলে পার্শ্ববর্তী নিজের জমি বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম উপস্থিত হয় এবং জমির কাগজপত্র ভূমি সার্ভেয়ারকে বুঝিয়ে দিতে থাকে। এসময় মাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র আলাউদ্দিন(৫০), আলাউদ্দিনের পুত্র রকি (২২), আব্দুর রশিদের পুত্র বেলাল হোসেন (৪৫), বেলালের পুত্র সোহান আলী (২০), আলমের পুত্র আজাদ আলী (৩৫), আবু বাক্কারের পুত্র মনি (২৫), মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র মানিক (৫৫) ও কলিমুদ্দিন (৫২) লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, হাতুর সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপস্থিত হয়ে শফিকুল ইসলামের কাছ ১ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে।
শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১নং আসামী আলাউদ্দিন শালাকে মেরে পুতে ফেল বলে হুকুম দেওয়ার সাথে সাথে ২নং আসামী রকি হাসুয়া দিয়ে শফিকুল ইসলামের মাথায় কোপদিলে সে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে সেসময় অন্যান্য আসামীগন লোহার রড, লাঠিসোটা, হাতুরি দিয়ে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় শফিকুল ইসলামকে বাঁচাতে স্ত্রী আয়েশা বেগম (৪২) ও বড় বোন কমেলা বেগম এগিয়ে গেলে আসামীরা তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এমন ঘটনায় ঘটনাস্থলে মূহুর্তের মধ্যে
আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় উপস্থিত প্রতিবেশীরা ৯৯৯ কল দিয়ে দুর্গাপুর থানায় বিষয়টি জানালে দ্রুত ঘটনাস্থানে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত শফিকুল ইসলামের শাররীক অবস্থা ক্রমান্বয়ে বেগতিক হতে লাগলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বর্তমানে গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী আয়েশা বেগম।
গতকাল ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার চাঁদাদাবী ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৮জনকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা বলেন, গত সোমবার উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে জমিমাপজোক করার সময় মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম বাদী হয়ে চাঁদাদাবী ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
